জাপান সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য

0 723

৬ হাজার ৮’শ দ্বীপের, জাপানকে বলা হয় সূর্যোদয় দেশ। স্থানীয়রা দেশটিকে ডাকে নিপ্পন নামে। ভূমিকম্প ঝুঁকিতে থাকা জাপানে প্রতি বছর ১৫’শ এর বেশি ছোট বড় ভূমিকম্প হয়। সুমো জাপানের জনপ্রিয় প্রাচীন খেলা। প্রায় ১৫’শ বছর ধরে দেশটিতে সুমো রেসলিং চলে আসছে।

জাপানিদের মাছের প্রতি আসক্তি আছে। জাপানিরা বছর ১৭ মিলিয়ন টন মাছ খেয়ে থাকে। সুশি, শাসেমি, শিয়োকি শাকানা, হিমোনো জাপানের জনপ্রিয় মাছের রেসিপি। শুনতে বিচ্ছিরি হলেও সত্যি, কাঁচা ঘোড়ার মাংস খাবার প্রচলন রয়েছে দেশটিতে। এটাকে বলে বাসাসি।

জাপানিদের গড় আয়ু ৮৫ বছর। পুরুষেরা গড়ে ৮১ ও নারীরা ৮৮ বাঁচে। দেশটির ২১ ভাগ জনসংখ্যার বয়স ৬৫ বছরের বেশি। বিশ্বে দ্বিতীয় সর্ব্বোচ গড় আয়ুর এই দেশটিতে ১০০ বছর বয়স হয়েছে এমন লোক পাওয়া যাবে ৫০ হাজারের বেশি। দেশটিতে বাচ্চাদের ডায়পারের চেয়ে বুড়োদের ডায়পার বেশি বিক্রি হয়।

দু:খজনক হলো আত্মহত্যার হার জাপানে সবচেয়ে বেশি। আওকিগোহারা নামে সুসাইড ফরেস্ট রয়েছে দেশটিতে। জাপানিদের অবসাদে ভোগার লক্ষণ রয়েছে। অনেক জাপানি হতাশাগ্রস্ত হয়ে নিজেকে ঘরে বন্দী করে রাখে এটাকে বলে হিকিমারি।

প্রযুক্তি আসক্ত জাপানিরা গোসল করতে গিয়েও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। তাই জাপানে বিক্রি হওয়া ৮০ ভাগ মোবাইল ফোনই ওয়াটার প্রুফ।

কমিকস প্রিয় জাপানে, প্রতি বছর ২ বিলিয়ন ম্যাগনা কমিকস বিক্রি হয়। পৃথিবীর অ্যানিমেশনের ৬০ ভাগই জাপানের দখলে। দেশটিতে ভয়েস অ্যাক্টিং স্কুল রয়েছে ১৩০ টি।

জাপানি ভাষায় বিশ ভাবে সরি বলা যায়। যেসব জাপানি নাগরিকরা টাইটানিক ডুবিতে বেঁচে ফিরেছিলো তাদের ভীতু বলে ভাবা হয়।

কর্মঠ ও সময়নিষ্ঠ হিসেবে জাপানিদের পৃথিবীজুড়ে সুনাম। জাপানি ট্রেনগুলোর দেরি করার হার মাত্র ১৮ সেকেন্ড। কাজের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়া জাপানে খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। কারণ ভাবা হয়ে থাকে, এটা অধিক পরিশ্রম ও ক্লান্তির ফল।

তথ্যসূত্র: ফ্যাক্টস্লাইড

Leave A Reply

Your email address will not be published.