জন্মদিনের শুভেচ্ছা!
নামেমাত্র ভালোবাসার পত্র নিও না,
সহাস্যে থাকিয়ো শতাব্দী ধরে, সুনয়না।
রিনিঝিনি বাজুক হাতের কাঁকন, পরিয়ো টিপ,
নবীন প্রণয়ের সুর কভু ভুলিও না।
সুচরিতা ডাকি তোমারে,
লজ্জাবতীও বলুক লোকে!
তারাদের মেলায় বেশ সাদাসিধে তুমি, সহস্র আকাশগঙ্গার বুকে।
নারীত্বের রহস্যেই, নারীত্বের পরিচয়
নিত্য ধাঁধার কথা সেখানে, হাসি ও অশ্রুবারিচয়।
পাখির মতো মন যার
শুন্যে ভুবন,
ভাবনার ভাবসম্প্রসারণ, সে খুঁজিবে না।
জন্ম-জন্মান্তর, পরজন্মের ঈশ্বর
দিনরাত্রিতে থাকুক সে, সকলের প্রার্থনায়!
=========================
কিছু তবে বলি,
মিডিয়ার রঙিন ভুবনে যারা কাজ করে, তারা একটু সেনসিটিভ হয়। এছাড়া, আমাদের সম্পর্ক অল্প কিছু দিনের। আমরা একে অন্যকে খুব বেশি জানিও না। তাই নিপাকে নিয়ে আজ জটিল কোনো বিশ্লেষণে যাচ্ছি না। ও যখন বলল- সবার বিশেষ দিনটিতে কিছু না কিছু লিখি, ওর জন্য কেন লিখি না; এত কঠিন অভিযোগ শোনার পর একমাস আগেই এই কবিতাটা লিখে রেখেছিলাম। অফিসের প্রথম দিনগুলোতে নিপা’কে বকাবকি করার অপরাধ এবার বোধহয় কিছুটা কমলো।
আঠারো মাসের পরিচয়ে যতটা মনে হয়েছে, নিপা যেন হুমায়ুন আহমেদ এর উপন্যাসের কোনো নায়িকা- যে অল্পতেই কান্না করে। আবার খুব দ্রুত ঠিকও হয়ে যায়। ওর মধ্যে সরলতার পাশাপাশি কিছু একরোখা ব্যাপারও আছে। তবে আমার সবচেয়ে যেটা ভালো লেগেছে- মেয়েটা খুব দ্রুত অফিসে নিজের দায়িত্ব শিখে নিয়েছে।
নিপার জন্য আমার অল্প কিছু অনুযোগ রইল- নিজের মধ্যে কৌতূহল জন্ম দাও, যত বেশি সম্ভব জানার চেষ্টা করো। অন্য যে কাউকে সময় নিয়ে বুঝতে চেও, সবার-ই মধ্যে না বলা কিছু গল্প থাকে। বড় বড় বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে না পারলে- তবে ছোট ছোট প্রবন্ধও পড়তে পারো। সমাজে আইকনিক কেউ একজন হয়ে উঠতে চাইলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। সুন্দর জীবন হোক তোমার!