হাই
মানুষ, শিপাঞ্জি সহ নানা প্রাণির মাঝে হাই তোলার স্বভাব লক্ষ্য করা গেছে। এমনকি মাতৃগর্ভে ভ্রণাবস্থায়, শিশুরও হাই তোলার নজির পেয়ে থাকেন গবেষকরা। তবে আসলে কেন আমরা হাই তুলি এ নিয়ে বিজ্ঞানী মহলে নানা ধরনের ব্যাখ্যা প্রচলিত ছিলো। আমাদের দেহে অক্সিজেনের সরবরাহ কম হলে হাই তোলার মত শরীরবৃত্তীয় ঘটনা ঘটে বলে বিজ্ঞানীরা ভাবতেন।
তবে, অতি সাম্প্রতিক কালে তারা একটি গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যায় সম্মত হয়েছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, অনিদ্রা ও ক্লান্তি যখন আমাদের মস্তিষ্কের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে তখন হাই তোলা কুলিং ফ্যান হিসেবে কাজ করে। সোজা কথায়, আমাদের মস্তিষ্কের তাপমাত্রার সহ্যক্ষমতা সঠিক রাখতে আমরা হাই তুলি।
হাই তোলা কি সংক্রামক?
আমাদের মস্তিষ্কে নিউরনগুলো বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। মিরর নিউরন নির্দিষ্ট ভাবে শিখা, আত্মসচেতনা ও সংযোগ স্থাপনের কাজ করে থাকে। তাই আমাদের আশেপাশে যখন আমরা যখন কাউকে হাই তুলতে দেখি, তখন আমাদের মস্তিস্কের মিরর নিউরনগুলো সক্রিয় হয়ে উঠে এবং মাঝে মাঝে অন্যদের অনুকরণ করে আমরা সে কাজটা করে থাকি। হাই তোলার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে থাকে বলে গবেষকরা মনে করেন।