বিড়াল সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য
বিড়াল আদুরে প্রাণী। বিড়াল নিয়ে এমন অনেক তথ্যই আমরা জানি না, যা শুনলে অবাক হতে হবে। একটি বিড়াল ঘন্টায় দৌড়াতে পারে সর্বোচ্চ ৩১ মাইল বেগে যা একটি চিতার গতিবেগের অর্ধেক। এটি যখন শিকারের পিছনে ছুটে তখন মাথা একই সমতল রাখতে পারে। উঁচু নিচু করার প্রয়োজন হয় না। ছোট এই প্রাণিটি তার চির শত্রু কুকুরের চেয়ে নব্বই ধরনের বেশি শব্দ করতে পারে। এমনকি এর শ্রবণ শক্তিও বেশ ভালো। বিড়ালের কানে আউটার মাসল আছে ৩২ টা যা মানুষের চেয়ে ২৬ টা বেশি।
বিড়াল দিনের দুই তৃতীয়াংশ সময় ঘুমিয়েই কাটায়। বেশি ঘুমানোর কারণ হলো ঘুমন্ত অবস্থায় বিড়ালের গ্রোথ হরমোনের নিঃসরণ ঘটে। নিজের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় এটি দিনের তিনভাগের এক ভাগ সময় ব্যয় করে। মা বিড়াল ১ থেকে ৯ টি বাচ্চা প্রসব করে থাকে। এখন পযন্ত একসাথে সব্বোর্চ ১৯ টি বাচ্চা প্রসবের ঘটনা ও রয়েছে।
ইতালির রোমে সবচেয়ে বেশি বাস্তুহারা বিড়ালের বাস। বেশিরভাগ দেশে কালো বিড়াল মন্দ ভাগ্য হিসেবে বিবেচিত হলেও ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, জাপানে কালো বিড়ালকে সৌভাগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ বছর ধরে আলাস্কার একটি শহরের মেয়র পদে ছিলো বিড়াল। ১৯১৯ সালে প্রচারিত ফেলিক্স ছিলো প্রথম কার্টুন ক্যাট।
বিড়াল সর্বোচ্চ ২০ বছর বেঁচে থাকতে পারে। তবে আমেরিকার টেক্সাসে একটি বিড়ালের ৩৮ বছরও বেঁচে ছিলো। আরো অবাক করার মতো বিষয় হলো, প্রায় ২০০ ফুট বা ১৬ তলা থেকে পড়েও বিড়ালের টিকে থাকার ঘটনা আছে।
বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে বিড়ালের দেহ আধ্যাত্মিক মানুষদের আত্মার ক্ষণস্থায়ী আবাস্থল। মিশরে বিড়াল পাচারের শাস্তি ছিলো মৃত্যুদন্ড। সেখানে বিড়াল মারা গেলে পরিবারের লোকেরা ভ্রূ কামিয়ে ফেলতো। ঘটা করে বিড়ালের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হতো। পানীয় হিসেবে ওয়াইন রাখা হতো। বিড়ালের মমি করে পারিবারিক কবরস্থান বা পোষা প্রাণির জন্য সংক্ষিত সিমেট্রিতে এদের কবর দেয়ার রেওয়াজ ছিলো।