হাবিজাবি হিবিজিবি হিজিবিজি
বাল্যবয়সে কবিতা হয়না। যা হয় তাকে বলে, হাবিজাবি, হিবিজিবি আর হিজিবিজি।
বিদ্রুপ করে লোকে,কি ক্ষতি তাতে?
অনেক পেয়েছি অল্প হারিয়ে
আমার হৃদয়ের চঞ্চল আলয়ে
আঁকাবাঁকা কিছু সত্যকে ঘিরে।
পৃথিবীর সব,
পাপ পুণ্য,বিচার বা অবিচার
ভাল কিংবা মন্দ।
পরিশেষে সবার প্রতি
মানবিক সকল, বির্তকিত অনুভূতি।
সবার প্রতি সমান ভালবাসা,
আমার এক পলেকর ভালবাসা।
ঘুণে ধরা এই শ্রাবণ সন্ধ্যায়
রইলো, এক পলেকর ভালবাসা।
কি নামে ডাকি তোমায় পাইনা ভাবিয়া
নাহি আছে কোন নাম পাপ ছলনা বিনা।
কোন শব্দে করি বলো,তোমায় সম্বোধন
জানতাম যা সবই এখন কলংকের বাহন।
কি কথায় শুরু হবে কোন বাক্যে শেষ
ভাবিয়া হয়না আজ ও তৃপ্তির অবেশষ।
য বস্ত্রে রক্ষা হবে তোমার সম্মান
হয়নি হবে না, তা কোন কালে বোঁনা।
কিসে হবে বলো তোমার তুলনা
এখনো পাই না খুঁজে সেই উপমা।
তোমার চলার পথ কখনো হবে না জানা
জানলে ছড়িয়ে দিতাম কিছু গোলাপ, কবরী, হাসনাহেনা।
আমি অবাক চাহিয়া দেখি,
তোমার ছোঁয়ায় লজ্জাবতী হাসে, করে উদ্দাম ছোঁটাছুটি।
তুমি নিয়তির মতো বিস্ময়, মেঘ আর ঝরণার মতো জড়
র্দুবোধ্য প্রকৃতির অনেক সৌন্দর্যের উপসংহার।
পবিত্র ভূমি নির্বাক,চেয়ে আছে রাতের আধারে
টিপ টিপ টিপ জমে রাতের সঞ্চয়,নির্লোভ আসক্তি।
জমা আছে স্নেহের পাত্রে।
আমার ছোট্ট নীলপাখি!
নীল তার চোখ,
আমার প্রতি ভালবাসা,
সমুদ্র থেকে আকাশ,
বিশালতায় তার মুক্ত বিচরণ।
কে আছে তোমার?
আমি হতভম্ব ! কি বলে?
বিষন্ন মনে বললাম,
কেউ নেই তুমি ছাড়া।
এক কথা কত বার বল?
একটু থেমে আবার সে বল্ল,
রাতের আধারে পেয়েছিলে
দিনের আলোয় মুক্ত করে দাও না।
আমি বললাম, হ্যা ।
দেখনা কি সুন্দর ঝকঝকে রোদ
ভর করেছে তোমার প্রশান্ত নীল ডানায়।
যে আমি এখনো নিজেকে ভাবিনি
তোমার গর্বিত প্রেমিক, অথবা চেতনার লাল টিপ,
সবচেয়ে নির্দোষ সর্ম্পকটাই চাই তোমার কাছে।
আমাদের কোন অভিযোগ থাকবে না শত্রুর প্রতি,
উওপ্ত এই বালুময় প্রান্তরে।
তোমার নিশ্চল ছায়াচিত্র
ভালোবেসেছিলো যে দুঃশ্চরিত্র ভূমিকে
চিহ্ন হয়ে আছে কপালের মাঝে
এবং তা অনুভূত হয় প্রতিদিন
সঞ্চালিত হয় দেহে,
স্মরণ করিয়ে দেয় এই জীবনের প্রতি আমার কত ঝণ!
এনে দে, মা ঐ ভেলাটি
চলছে আকাশ ছুঁয়ে।
না দিলে মা দিব্যি করে,
মরবো জলে ডুবে।
রাগ করলে? চাইবো না আর,
পড়বে না জল বেঁয়ে
হাসলে তুমি…..
বললে, এই তো মানিক লক্ষী আমার
চুমো খাও দু গালে।
হাতের কথা পড়তে জানি,
তোর সাথে তাই নিত্য আঁড়ি।
কিন্তু গোপন স্বপ্ন চুরি
সবুজ পাতার রঙিন ঘুঁড়ি।
বাড়ির পথে হাঁটতে মানা
আপন মানুষ দিচ্ছে হানা।
নিশিকন্যার নতুন চুঁড়ি
ভাঙ্গতে আমার ইচ্ছে ভারি।
বাজে কথা বাদ দিলাম,
তোর হাতে হাতটি দিলাম।
ভাবের ডগায় সর্প নাচে
তারে একটু ছুঁয়ে দিবি কি?
আকাশে বিষণ্ণ সাদা মেঘের দল। লুকোচোরি খেলে নিলীমার অন্তরে,ভাঁজে ভাঁজে।
শ্বেত শুভ্র পায়রার দল হারিয়ে যায় আড়ালে,লোক হতে লোকান্তরে
কোথা ও কেউ নেই।
ভারী গায়ে দাঁড়কাক পানি খায়; বসে আছে পুরনো বাশের কঞ্চিতে।
অবেলার সেই ডাকে,
মেঘেরা নগর থেকে নগরে বিদায় নেয়।
আমি পাখিদের ডাল ছেড়ে বিদায় নিতে দেথেছি। কত করুণ সেই বিদায় বেলা।
সদ্যসমাপ্ত ইমারত ছেড়ে, বিদায় শ্রমিকেরা নেয়, য়ুদ্ধ ক্ষেত্র ছেড়ে যায় অবশ সৈনিক।
মাথার ঘনকালো চুলগুলো হঠাৎ হঠাৎ কোন রকম আভাস অজুহাত না জানিয়েই বিদায় নেয়।
বড় অপ্রত্যাশিত না বলা সেই বিদায়ক্ষণ,
কখনো কখনো বিদায় হয় প্রতিদিন। তবু কোন বিদায়ই ফিরে পাবার নয়।
কোথাও হারিয়েছে প্রেম আমার,তবু কেন মিছে প্রেম খুঁজি।
যাকে কথা দিয়েছিলেম, কোথায় আছে সে?
হয়তো ক্ষমা করেনি অথবা সুখেই আছে।
তবু রাত্রি নামে, দেহ কঙ্কাল সারিয়ে আঁধারের সুর।
তোমাদের বিচিত্র এই শহর, নিয়নের আলোর আঙ্গিনায়।
কেউ জেগে নেই আর,শুধু জেগে মৃত শালুকের মন তার রাতের বাসর।
ক্ষুধার্ত বিভ্রান্ত রাজপথ। কোথা পাবে আত্ম পরিচয়?
এ পথ ধরে চলে এমন
কজনারই তারে মনে রয়?
কত অশ্রু কত পুষ্প! নানা মানুষ নানা বিহঙ্গ
একা একা গম্ভীর ভঙ্গিতে চোখের তারায় তারায় আঁকা যে শিশুর পবিত্র ওষ্ঠ।
স্মৃতির বোঝায়,তাও ভুলে যেতে হয়।
শিশুরা ভালবাসে ধূসর প্রজাপতির ডানা।
আমার বিশ্বাস, পাখিরা ছলনা জানে না।
সৌন্দর্য মুঠোয় পুরলে,আনন্দ দীর্ঘক্ষণ রয় না।
যদি জোছনা রাতে এক ফোঁটা জল তোমার কপোল চুমে বয়ে যায়।
নিয়ন আলোয় অদ্ভুত তুমি,আমার নামটি ও ভুলে যাও।
বলবে কি তুমি এলে সেই ক্ষণ , “তুমি আমার প্রিয় কেউ না”।
তবে তোমার সাথে হবে একটু আঁড়ি,খালি পায়ে চলো আজ কিছুদূর হাঁটি।
নিদ্রায় ঘা প্রদোষকালে,সচকিত উন্মেষ
ডরালু দয়িতের প্রেম,
স্বার্থপর কহে পালা।
দগ্ধ হৃদে,অন্যায় হাহাকার,
না পেলে রবো চুপ, হবো নির্ভার।
শ্লথ পুরজন,
কাজে বাধা দিবে মন।
তবে কেন মিছে রব,তবু মিথ্যে নয় ভূ-কলা,
ভাসিয়ে মোর পল্লব তরী,খন্ডিত ঘুম আশাহত জ্যোতি।
চাতক চাহিত অপলক রবি।
বেলা গড়ালে ঝুলিতে রুটি,
সাতজনে মিলি বহিয়া চলিব,মোদের ও জীবন ভার।
অসংখ্য সুর ভেসে বেড়ায় পৃথিবীর বাতাসে
শুরুটা গভীর আগ্রহে শেষটা হয় বিষাদে,
সকাল-বিকাল, সন্ধ্যাদুপুর বাদ্যদলের নিখঁত আয়োজনে।
নর্তকীরা নাচে, পায়ের পর পায়ে
শেষ ছন্দটি ভুলে যায় প্রতি মুর্হূতে,
অশ্রু বিন্দু বেয়ে পড়ে অজ্ঞাতে।
শ্মশান ঘাটে প্রায় উলঙ্গ উন্মাদ,
নাচে গায় প্রার্থনা করে।
একটি অবুঝ শিশু জানালা দিয়ে চেয়ে থাকে
লজ্জা,অফুরন্ত বিস্ময় নিয়ে।
থেমে যাবে মিছিলের কোলাহল
অবাধ্য আত্মার চিৎকার।
তোমার সীমাহীন ক্লান্তি,বেড়ে যাবে
প্রিয় শত্রুর নীরবতায়।
প্রিয় দাসীটির মনভাঙ্গা সুর।
আর, অজস্র তারের টান
সঙ্গী হবে, মোমবাতির আলো, ইট, কাঠ, অবলা জীব।
কোন প্রয়োজেনে এবং কি দেবে তুমি আমায়?
হয়তো নতুন কিছু লালায়িত প্রস্তাব!
আমি এক বিভ্রান্ত স্বার্থপর,
ভাগিদার শুধুমাত্র তোমারই সবটুকু দীনতার।
আমার দ্রুত প্রস্থান নিঃশব্দে,করিডোর ভেঙ্গে
উওর, পশ্চিম দক্ষিণের সবগুলি উঠান ডিঙ্গিয়ে।
শান্ত চাঁদটার রূপবদলায় দিগ্বিদিক থেকে
খালি পায়ে আমি, কি অচেনা আপন নিঃশ্বাস
চাপা ভয় হয় ফেলে আসা পদচিহ্ন,
নিজের দ্বিখন্ডিত ছায়া দেখে।
বিশাল বাড়িটার সবগুলো চত্বর থেকে উঁকি দেয় ভয়
খানিক ভাবি, এ-কি সে আমি? যদি স্বপ্ন হয়।
এই উঁচু প্রাচীরটার নিয়তি আমার রক্ত মাখা হাতে
বিশ্বাস করো আমার একমাত্র স্বার্থকতা,
শুধু তোমারই সমাধিস্থলে।
মেয়ে কোথায় তোমার ঘর?
ওই নীলে আঁকা সাত পাহাড়ের দেশ!
কোথায় হলদে পাখির গ্রাম?
সন্ধ্যে বেলায় পাখির ঠোঁটে প্রেম।
তুমি কৃষাণ গাঙের নাও,
উদাস দুপুর ফড়িং মনের সুখ।
তুমি গোল্লাছুটের দৌড়,
সাঁত সকালে মিষ্টি মিঠাই খই।
তুমি বড়শি গাঁথা কিশোর ছেলের টোপ,
লাউয়ের ডগায় মিষ্টি রোদের ডুব!
কাল রাতে টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছিলো, আমি ভাবি নাই,সে আসবে!
তবু সে এলো! রাতের আধারে যেন একখন্ড জ্যোতি।
বল্লো,দেখনা,কি নিঝুম পবিত্র এই রাত্রি!
আমি শুধু অপলক তাকিয়ে ছিলাম।
যখন ভোরের আলোয় আলোয়,পুব আকাশে রবির হাসি। আমি দেখি সে নেই!
তখন ভাবলাম, না এলেই ভাল হতো,তাকে তো বলা হয়নি কত সুন্দর লাগছিলো তোমায়।
আমাকে এড়িয়ে যাওয়া তোমার মুহূর্তগুলো মেঘের গর্জনে,অপয়া আলোর নিষ্ঠুর জলকানি আর রাতের বিলাপে অনাবেগী বৃষ্টির আবেগী অভিমানের মতো, এক নিশ্চিত সত্য, তুমি আমি আমরা কেউ কারো নই। একই শব্দ থেকে উৎসরিত আমাদের প্রাণ হয়তো ভালবাসা বা প্রেম নয়, অথবা বিশ্বাস ও নয়, সময়ের প্রয়োজনে শুধুই ভাল লাগা। আমার তাই ভয় হয় যে খেয়ালি সময় আমাদের হাত মেলালো, সে সময়ই তোমাকে কেড়ে নেবে, আমি যে আজন্ম পাপী। তাই কোন চাওয়া পাওয়া নয়, আমার ছায়া কে তোমার বলে ভাবতে চাই, এতটুকু অধিকার থেকে তুমি আমাকে বঞ্চিত করো না।
তোমার মনের রেপ্লিকায় আমি বাগান করবো, সাড়ে তিন হাত জমি দেবে!
ফোটাব কামিনী জুই,দেব এক গোলাপের বিষন্নতা।
জানো? মিষ্টি টিউলিপের গলায় আমি বেশ ভাল ছুড়ি মারতে জানি।
রহস্যময়ীর জাল ছিড়তে রক্তপায়ী খুনি হবো মরবো শতবার, তবু ছাড়বো না আশা তোমাকে পাবার!
আমার মেহেদী রাঙ্গা বউ,
চাঁদের মতন আলো,
তোর নাকে নলক পড়িয়ে দেব,
গোটা গোটা কানের দুল আলতা রাঙ্গা পায়,
আমার সব ক্ষতিপূরণ লিখে দেব।
গায়ে জড়িয়ে দেব নক্ষত্রের চাদর,
আঁধার রাতে তোকে পূজা দেব,
চিকচিকে আলোতে নূপুর সেটে দেব,
আলতো র্স্পশে আকবো রুপোর টিকলি,
বাকি থাকলো সবুজ শাড়ি।
খুঁজতে পেরুবো তেপান্তার,এক দেশ।
আর যদি না পাই?
প্লিজ,মন খারাপ করো না।
এখন তো আর আমি কিশোর নই,
স্বপ্ন হারিয়ে গেলে লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদবো কেন।
ইরিশ বিরিশ তিনশ পাতা,
প্রেমের কাব্যে হবে লেখা,
দোয়াত কালি ফুরিয়ে গেলে,
প্রিয়া তোমার কাজল জলে,
আধার ভেঙ্গে রাত পেরুলে,
পোষা টিয়ার ঘুম ভাঙ্গিয়ে,
আমার আঁকা হস্তরেখা,
মিটমিটিয়ে গাল ফুলিয়ে,
মধ্যরাতে সঙ সাজিয়ে,
চুপিসারে উঠবে কয়ে, সোনা পাখি এবার একটু হাসো,
আমি তখন অনেক দূর তোমার জন্য কেঁদে কেটে, অচেনা এক না ফেরার দেশে।
ক্লাস রুমে মন নেই,পিছনে বসার মজা বুঝে গেছি আমি,
পাশের জন ঝিমুচ্ছে! ওকে আড়াল করছি আমি।
এদের রাত কাটে ফোনে কথা বলে,তাও করি না আমি।
এত কথা কোত্থেকে আসে,মননে পাইনা আমি।
কেমন আছ?এর পরে কি ইই বলার থাকে??
ভাবনায় আছি আমি!
পরের পিরিয়ড সুন্দরী ম্যামের ভাবছি তাও করবো না আমি।
ক্লাসরুমে অলস সময় কাটিয়ে লাভ কি?
বইয়ের কমিউনিকেশন আমাকে ওর ইনফরমেশন দেয় না।
বেঞ্চিতে আমি আর তার নাম লিখবো না, পার্কে বসে থাকবো একা একা।
আঙ্গুল কেটে গেছে ইশ, ওর উপর বীষণ ত্যক্ত আমি।
বলছি তোমায় শোন, ক্লাসরুমে পড়ার ফাঁকে ফাঁকে আমাকে ভেব বিশ্রাম/আরাম পাবে তুমি।
রোদ্দুর আজ প্রখর চওড়া,ছলাৎ ছলাৎ জলের খেলা,
পথ শিশুর খেলনা ঘোড়া হনহনিয়ে রাজ্য হারা,
ক্লান্ত আমি হাঁটছি একা,যাচ্ছে ক্ষয়ে পায়ের জুতা,
উল্টা পাল্টা জীবন চরিত নিয়ম নীতির ছকে কষা,
দস্যি তোমার নির্দোষিতা রঙিন ঘোড়ার খুড়ে বাধা।
তুমি আমায় কত বেশি জানতে চাও!আমি যে পরিচয় হারিয়ে ফেলেছি। পৃথিবীর উত্তরে এক গুহাবন্দিনী কে ভালবাসতে চেয়েছিলাম। তার নির্মীলিত আখিদ্বয় কেঁদে উঠলো। বলল, “পেশীবহুল সৈনিকেরা আমাকে ফেলে গেছে,তুমি কি করতে পারবে দুর্বল বন্ধু আমার।আমাকে নিয়তির হাতে তুলে দাও” আমি ওই রমণীর নির্লোভ প্রেম ছুতে পারি নাই।তারপর গেলাম পৃথিবীর মধ্যভাগে,পর্দানশিন এক কিশোরী তার হিজাবের বেগুনী সুতায় আমার ঘাম মুছে দিলো।রাতের আহারে সে এনেছিলো মিষ্টান্ন আর গোলাপ,আমি বল্লাম তাকে ভালবাসতে চাই। তার সুমিষ্ট বর্ণমালা ভেসে উঠলো,”পরদেশি তুমি ধর্ম মানো না!” নিষ্ঠুর স্রষ্টার কাছে আমি আরো একবার হারলাম।ঐ কিশোরী আমার অশ্রু না দেখেই বিদায় নিলো। অবশেষে হাজার বছর পরে এক বঙ্গললনার চোখে চোখ রাখলাম সে ও আমার পরিচয় জানতে চায়। হায়রে কপাল!“এভাবেই অনেক প্রেম সময়ের আড়াল হয়ে আছে!” তখন আমি হেটে হেটে অনেক দূর,মেঘেদের মতো ভারহীন পথিক,দেখে গেলাম সব,ভাষাহীন প্রত্যুত্তর,চাওয়া পাওয়ার ডিঙ্গি পেরিয়ে।
কেউ কি জেনেছিলো কবে? কেমন কার লাগে!
প্রাণ এর অস্তিত্বে অনুভূতি,যখন প্রথম জাগে?
এক বিন্দু জমাট রক্ত,ধীরে ধীরে মাংস পিন্ড
লাজুক হাসির আদল,
সুন্দর দুটি চোখ,
কত প্রেম পুণ্য আর অপেক্ষার দীর্ঘ উৎসুক বেলা,
প্রসবের অদ্ভুত বিস্ময় প্রহর!
কোন সংঙ্গা নেই তোমার গর্ভধারিণী!
গোরস্থানে আবছা আলো, আমি লাশ পুতে দিলাম,
আমার উত্তাপহীন বাহুডোরে সে ছিলো,
আমি চাইলেই তাকে দেখতে পারতাম, পারতাম বুক ভরে তার সুবাস নিতে।
তার কপালে হাত রেখে শুনাতাম ঘুম পাড়ানির গান।
আমার খুব ইচ্ছা হয় ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলতে তাকে,
দেখাতে ক্ষরিত আত্মার অশ্রু আমার,
হাতে পায়ে কপালে কত যে লিখেছি তার নাম, তার জন্য।
সে সুযোগ আমার ছিলো, কিন্তু না আমি তা পারি না,
পারি না আরেকটু সময় নিয়ে তার মাথায় হাত বুলাতে,
দু’হাতে জড়িয়ে ধরে তাকে দেখতে, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তাকে দেখতে,
আমার হারানো প্রেম নির্দশন,
মরে গেলে সবই গন্ধ ছড়ায়,
আমার ভালবাসা মরে গেছে,
আর কোন হাহাকার নয়,
আমি তাকে পুতে দিলাম,কবর দিয়ে দিলাম।
এঁকে দেখাও ১-একা
ছিঁড়লো তার শখের পাখা।
শূন্য হৃদয় ২-দুনিয়া
কেমন আছে মন মুনিয়া?
৩-এর ভেতর পাখির বাসা
জিহ্বের তলে নিত্য নেশা।
অসীম পথে ৪-এর বাড়ি
কাঁপছে সেথায় ট্রেনের নাঁড়ি।
৫-পাঁচে পেঁচা ডাকে
সুবোধ বালক ভয়ে কাঁপে।
সাদা মেঘের ছবি তুলে
৬-এর ছায়ায় কেমন ছিলে?
৭- কাঁদছে চুপি চুপি
মাথায় পড়ে নতুন টুপি ।
৮-দরিয়ায় কোথায় সে সুখ?
নবীন মাঝির বিষণ্ন মুখ।
৯-সেঁজেছে বৈশাখী সাঁজ
ঘরে ফিরবো ঘনিয়েছে সাঁঝ।
আমার মেহেদী রাঙ্গা বউ,চাঁদের মতন আলো,
তোর নাকে নলক পড়িয়ে দেব।
গোটা গোটা কানের দুল আর আলতা রাঙ্গা পা’য়,
আমার সব ক্ষতিপূরণ লিখে দেব।
গায়ে জড়িয়ে দেব নক্ষত্রের চাদর।
আধাঁর রাতে তোকে পূজা দেব,চিকচিকে আলোতে নূপুর সেটে দেব।
আলতো র্স্পশে আঁকবো রুপোর টিকলি।
বাকি থাকলো সবুজ শাড়ি!
খুঁজতে পেরুবো তেপান্তার,এক দেশ।
আর যদি না পাই?
প্লিজ,মন খারাপ করো না।
এখন তো আর আমি কিশোর নই,
স্বপ্ন হারিয়ে গেলে লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদবো কেন।
ধেয়ে আসা কালো মেঘের প্রতি অমন অবহেলা,
দিন যায় উলঙ্গ প্রজাপতির নৃত্যে।
৬টি বোন ছিলো তারা, আসতো সকালের শেষে।
১ম টি নাচে পর্দার আড়ালে, ২য় টি নকল করে তাকে
৩য় টি করে একে, ৪র্থ টি ও তাই
৫ম টি ঘুম পাড়ায় আমায় আলতো পরশে।
আর শেষ জন উড়ে বেড়ায় কল্পনার আকাশে।
রহস্য রূপ বদলায়, বড় হয় নানান ছদ্ধবেশে
কোন এক দুর্বল সময়ক্ষেণ,
অস্বীকার করে নিজেই নিজেরে।
আমাদের অবুঝ ইন্দ্রিয়গুলি,
ভালবাসায় জড়িয়ে রাখে তাকে।
সন্ধ্যাপ্রদীপ “আজও রইবে জেগে
তোমার প্রতীক্ষায় ঘুমঘুম চোখে।
হেঁটে, হেঁটে চলে এসো খুব নিরবে
দু পায়ে দাঁড়ানো ছোট্ট গৃহে।
ভয় পেয়ে হারিয়ো না গহীন বনে
চঞ্চল জোঁনাকিরা পথ চিনাবে।
পাহাড়ের কান্না শুনতে যাবো
স্বর্ণলতার নুপূর পায়ে জড়িয়ে।
অনেক স্বপ্ন ঝরে জ্যোঁছনায় গলে
এখনো খুঁজি তোমায় ডুব সাঁতারে।
আশার চেয়ে দ্রুত
এবং আরো দ্রুততর বয়ে চলা সময়ের স্রোত।
নিয়মিত সব ঘটে প্রতিদিন,তবু কত ভয় মনে সংশয়!
কি হবে কিভাবে! পালাক্রমে দৈবদোষে,
কোথায় মিলবে সুখ?পাবো পূর্ণতা অস্তিত্ব সংকটে।
জানতে চাই,জন্মের পর হতে-
মন দিয়ে শোনা।
চোখ দিয়ে দেখা।
কল্পনায় আকা। টিক টিক ঘড়ির কাটা,আর-
স্মৃতির দুয়ার খুলে,ডায়রিতে লিখে রাখা।
আমার ইচ্ছেগুলি,
কি দোষে দোষী হলো,সময়ের কাঠগড়ায়।
বির্বণ,বিরস এত তাড়াতাড়ি? এখন আমার কাছে,ক্ষুধার্ত শকুনের দৃষ্টি
অচেনা কোন এক বিস্তৃত মরুভূমি
শুধু গড়িয়ে গড়িয়ে চলা।
অবশেষে কিছুই হবে না পাওয়া।
আমার প্রিয়মানুষজন?
যাদের ভালবাসতে চাই,দূরে ঠেলে দিও না।
আমি হব কৃষ্ণপক্ষের দেবতা, তোমাদেরই প্রিয় শমিত।
বলতে পারো কোন- অনুভূতি?
তোমাদের বেশি নাড়া দেয়
সরীসৃপের হিংস্রতা?না,
ঝরা পাতার শিহরণ?